সকালে ঘুম আছে এমন সময় ট্রাকের শব্দে ঘুমটা
গেল ভেঙ্গে।বুকের ভিতর ধকপক ধকপক
করছে।এত জ্বরে কেউ হরেন বাজায়?/তাও বাড়ির
সামনে এসে।আম্মুকে ডাক দিলাম
---কি হয়ে ডাকিস কেন??
---এই সকাল বেলা ট্রাকের শব্দ কেন??
--মাথা মোটা এখন ১১ টা বাজে।সারা রাত শুধু মোবাইল
টিপা আর দুপুর পর্যন্ত ঘুমানো।।
---তোমার খালি এক ডাইলোগ।আজ ছুটির দিন বলে
এতো ঘুমাচ্ছি।
---ছুটির দিন বলে সারা দিন ঘুমাতে হবে।
--যাই হোক। ট্রাক কেন এখানে???
--পাশের বাসায় নতুন ভাড়াটিয়া আসলো তাই।
---ও।আচ্ছা। এই জন্যই।
--তাড়াতাড়ি ওঠ।নতুন ভাড়াটিয়া একটু কাজে হেল্প কর
গিয়ে।
---আচ্ছা চেষ্টা করি।
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে খাবার খেয়ে
বাইরে গেলাম।ট্রাকটা এখনও আনলোড চলছে।
আমি গিয়ে নতুন ভাড়াটিয়াকে ডাক দিলাম
---এই যে আঙ্কেল এদিকে আসেন।
---কি হয়েছে বাবা??
--আমি পাশের বাসাতেই থাকি।আপনারা নতুন তো
আপনাদের কি কাজে হ্যাল্প করবো??
---করলে ভালো হতো।অনেক জিনিসপত্র নামাতে
হবে।
---আচ্ছা আঙ্কেল আমি হ্যাল্প করছি
---ঠিক আছে।
তারপর পুরা ২ ঘন্টা কাজ কলমান।হাত পায়ের আবস্থা
শেষ।সালার আঙ্কেলেরর যদি একটা মেয়ে
থাকতো তাও ভালো লাগতো।তাও নাই মনে হয়।
১০-১২ বছরের একটা পিচ্চি ছেলে আছে।একটা
মাইয়া থাকলে তাও এত কাজ করলাম এটার শোধ
উঠতো।আঙ্কেল আমার কাজে খুশি হয়ে কাধ
চাপড়িয়ে একটু প্রশংসা করলো।
আমি আর প্রসংশা বেশি খেতে পারিনা।তাই চলে
আসলাম।বিকালে ছাদে বসে মোবাইল টিপছি
আরামে।এমন সময় দেখি একটা মাইক্রো এসে
থামলো। মাইক্রো থেকে একটা মেয়ে
নামলো।আঙ্কেলকে দেখে বাবা বলে ডাকদিল।
আমার হার্টবিট তখন এত জ্বরে চলছে যে
বুঝতেই পারছিনা।আমার তো আনন্দের শেষ নাই।
মনের ভিতর তখন লুঙ্গি ড্যান্স বেজে উঠলো।তাই
একটা ড্যান্স দিয়ে দিলাম।
লুঙ্গি ড্যান্স লুঙ্গি ড্যান্স লুঙ্গি ড্যান্স
--এই যে মিস্টার ছাদ থেকে পড়ে যাবেন সাবধান।
তাকিয়ে দেখি ওই মেয়েটা.......
---আপনি আমার জন্য কত ভাবেন।
--আরে আপনার জন্য ভাবার কি আছে আজব।আপনি
আপনি টাওজার পড়ে লুঙ্গি ড্যান্স দিতে দিতে ছাদের
পাশে চলে গেছেন সেদিকে তো খেয়াল নাই
তাই বললাম।
---আপনি কত ভালো।আপনার মতো মেয়েই তো
দরকার।
--আপনার কথা ঠিক বুঝলাম না।
--বুঝা লাগবেনা।এনি ওয়ে আমি সাগর অনার্স ১ম বর্ষ।
---ওহ।আমি আরিয়া মেডিকেল ৩য় বর্ষ।সো আপু
বইলা ডাকবা।
মনের সব বাত্তি ধক কইরা নিভা গেল।সালার আঙ্কেল
মেয়ে জন্মম দিছেন আমার বয়সের দিতে
পারেননি।বড় মেয়ে থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো
ছিল তাও মুখের সামনে দিয়ে এমন সুন্দরি মাইয়া ঘুইরা
বেড়াইতো না।কি পুড়া কপাল আমার।
--এই যে ছোট কথাই হারাই গেলে??
---না কোথাও না।আপনি আমাকে ছোট বলবেননা।
আমার ভালো লাগেনা।
---১০০বার বলবো।কারন তুমি তো আমার ছোটই।
আম্মু ডাকছে তাই বদমাস মাইয়ার কাছ থেকে চলে
আসলাম।আইসাই ছোট ছোট লাগাই দিছে।
পরের দিন সকালে কলেজে যাব বলে বের
হয়েছি।কলেজ কাছে হওয়ায় সাইকেল নিয়ে যাই।
রাস্তাই বের হয়েছি আর দেখি বদমাস মাইয়া ডাকছে।
---এই যে ছোট কলেজে যাচ্ছ নাকি।
মনে হয় কইসা একটা চড় দিয়ে আসি।কিন্তু তাও পারবনা।
তাই মনের রাগ মনের ভিতরেই রেখে দিলাম।
--জ্বি।
---আমাকে একটু ড্রপ করে দাও তো।
--আপনার মাইক্রো থাকতে আমার সাইকেলে কেন
ড্রপ নিবেন?
---তুমি ছোট মানুষ। চুপচাপ থাকবা।যা বলছি তাই করো।
আমি কিছু বলার আগেই সাইকেলে চেপে
বসেছে।তাই আর কিছু করার নাই।যেতেই হবে
এখন।
--আরে এতো ধিরে চালাও কেন?আমার দেরি
হয়ে যাবে।তাড়াতাড়ি চালাও।
--পড়ে যাবেন তো তাহলে।
---তোমারে না বলছি তুমি ছোট মানুষ। কম কথা বলবা।
যা বলছি তাই করো।
আমিও দিছি হাওয়াই বেগে টান মনের রাগে।মেডাম
দেখি আমাকে এবার শক্ত করে ধরেছে।
চলবে......
0 comments:
Post a Comment