অনেক ক্ষন হলো মেলায় এসেছি আনমোনা হয়ে দুলো মাখা মাঠে হাটতেছি বন্ধুরা আসবে বলে ও হারামি আসেনি এখন একা একা নিজেকে রুহিঙ্গা রুহিঙ্গা লাগতেছে কি আর করা তাই হেটে হেটে সব দেখতেছি!
-এই হৃদয়.....(মেয়েল ি কন্ঠ)
-কে....(পিছনে না তাকিয়ে জবাব দিলাম)
-আরে আমি তিথির...(তিথির)
-আরে তুই এখানে একা আসলি বুঝি...(আমি)
-আর কে আসবে....(তিথির)
-কেন তোর বয়ফ্রেন্ড আসেনি....(আমি)
-তুই কি পাগল হয়ে গেলি নাকি আমার বয়ফ্রেন্ড আসবে কোথায় থেকে.....(তিথির )
-কেন ওই দিন যে দেখলাম একটা ছেলের সাথে রিকসায় কেরে খুব হাসাহাসি করে ঘুরতে...(আমি)
-আরে ওইটা আমার কাজিন আর তোর এত দিন ফোন বন্ধ ছিল কেন কলেজে ও আসলি না তুই যানস তোরে কত ফোন দিছি কত মিস করেছি...(তিথির)
-একটু সমস্যা হয়েছে তার জন্য.....(কথা গুরিয়ে)
-আচ্ছা সামনে হাটি...(তিথির)
হাটতেছি আর ভাবতেছি ওই দিনটা কথা......
সে দিন ছিল পহেলা বৈশাখ সকাল বেলা তারাতারি উঠে ফ্রেস হয়ে বেরিয়ে গেলাম রেলি করতে অনেক লোক হয়েছে সুন্দর সুন্দর রমনী দেখে চোখ পেরাতে পারতেছি রমনীদের দিকে তাকিয়ে হাটতেছি.....
দফাস........উপপ পপপপপ কমরটা মনে হয়ে গেছে কেরে এত জোরে দক্কা দিলো......(রমনী দের দিকে তাকিয়ে হাটতে হাটতে কে যেন দক্কা দিয়ে পেলে দিল)
-আই এম সরি আমি খেলয়াল করিনি একটু তাড়া ছিল তাই.....(একটা মেয়ে মিষ্টি কন্ঠে কথা গুলো বললো)
-তাড়া ছিল মানে চোখ কি মাথায় রেখে হাটেন দেখে হাটতে পারেন না সুন্দর ছেলে দেখলে দক্কা দিতে ইচ্ছা করে তাই না....(ভাব নিলাম আসলে দোষ আমার ও ছিল তবু মেয়েটির সরলতার সুযোগ নিলাম এখনো মাটিতে বসে আছি মেয়েটি ও মাটিতে পড়ে আছে.)
-আপনি এই সব কি বলছেন বললাম তো সরি আসলে আমার বাসা থেকে বুয়া ফোন এসেছে আম্মু অসুস্থ হাসপাতাল নেওয়া হয়েছে আমার আম্মু ছাড়া আমার কেউ নাই আব্বু আমাদের সাথে থাকে না তাই তাড়াতাড়ি করে যেতে আপনার সাথে দক্কা লেগে গেল....(মেয়েটি পড়ে থাকা থেকে উঠতে উঠতে বললো)
এখনতো নিজেকে অপরাদি মনে হচ্ছে দোষ মেয়েটির একা ছিলনা আমার ও ছিল.....!
-আই এম সরি আমি বুঝতে পারিনি না বুঝে অনেক গুলো কথা শুনিয়ে দিলাম....(এখন কমর দরে বসে আছি ব্যাথা ও পয়েছি হালকা)
-ইটস আমি আসি আমার দেরি হয়ে যাইতেছে....(মেয় েটি)
-আরে শুনুন...(আমি)
-কি বলেন...(মেয়েটি)
-আমাকে তুলুন...(হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে)
-উঠে আসুন...(মেয়েটি ও হাতটি বাড়িয়ে দিলো)
মেয়েটির হাতের ছোয়ায় নিজেকে কোথায় যেন হারিয়ে পেলেছি মেয়েটি দেখতে সাদা পরির মতো লাগতেছে লাল সাদা শাড়িতে হালকা মেকাপ আরো সুন্দর করে তুলেছে...
-কি হল হাতটা ছাড়েন...(মেয়েটি )
-ও সরি...(হাতটা ছেড়ে দিয়ে)
-আচ্ছা এবার আমি যাই...(মেয়েটি চলে যাইতেছে আমার মনটা যেন নিয়ে যাইতেছে)
না এই মেয়েটাকে হারানো যাবে না আমি দোড়াতেছি মেয়ে অনেক দুরে চলে গেছে দোড়াতে দোড়াতে পিছন থেকে ডাক দিলাম...
-এই যে শুনুন.....(হাপা তে হাপাতে)
-আরে আপনি হাপাতেছেন কেন....(মেয়েটি)
-আমি আপনার সাথে হাসপাতালে যাবো...(আমি)
-কেন আপনি কেন যাবেন...(মেয়েটি )
-আপনি মেয়ে মানুষ একা সব কিছু করতে পারবেন না তাই ভাবলাম আমি একটু তো আপনাকে সাহায্য করতে পারি...(আমি)
কি যেন ভাবলো তার পর বললো..
-আচ্ছা চলেন...(মেয়েটি)
হাসপাতালে আন্টিকে আমার আসার আগে নিয়ে এসেছে এখনো সিটে দেওয়া হয়নি ডাক্তার এর সাথে কথা বলে আন্টিকে সিটে সিপট করেছি। ডাক্তার দেখে গেছে তেমন কোন সমস্যা হয়নি মাথা গুরে পড়ে যাওয়াতে হাতে ব্যাথা পেয়েছে....
-আপনি না থাকলে কি যে হতো thanks...(মেয়েট ি)
-thanks বলার কি আছে আচ্ছা আমি আসি..।(কিছু বলতে পারিনি হাবার মতো চলে যাইতেছি)
-এই যে শুনুন....(হাপাত ে হাপাতে বললো মনে হয়ে দোড়ে এসেছে)
-জ্বি বলেন...(আমি)
-আপনার নামটাতো জানা হলো না...(মেয়েটি)
-আমি রায়হান উদ্দিন হৃদয় এবার SSC দিছি এবার আপনি?...(আমি)
-আমি মেহজাবিন বিনতে তিথির এবার SSC দিছি....(তিথির)
-যদি কিছু না মনে করেন একটা কথা বলবো....(আমি)
-হুম বলেন....(তিথির)
-আপনার নাম্বারটা দেয়া যাবে.....(আমি)
-আপনারা সব ছেলেরা এক একটু বলো করে কথা বললে নাম্বার চেয়ে বসেন...(তিথির)
-সরি আমি.....(কিছু আর বলিনি এক পা দুই পা করে পেলে ভাবছি আমি ও না কি দরকার ছিল নাম্বার চাইবার শুধু শুধু নিজেকে ছোট করলাম একটা মেয়ের কাছে তখনই)
-এই যে মিঃ আপনার নাম্বারটা দেয়া যাবে....(তিথির)
-হুম যাবে...(মুখ পসকে বেরিয়ে গেল)
-তাহলে দিন......(তিথির )
-নিন...০১৭***** ***(আমি)
নাম্বার দিয়ে চলে আসলাম এর পর অনেক দিন চলে গেল একদিন হঠাৎ ফোন আননোন নাম্বার থেকে....!
ক্রি ক্রি ক্রি........... ..(আননোন নাম্বার)
-.............. ...(আমি নিশ্চুপ)
-.............. ...(ফোনের ওপাশে ও নিশ্চুপ)
-কি হলো ফোন দিছেন কথা বলছেন না কেন.....(আমি)
-.............. ......(নিশ্চুপ)
-আরে বাবা কে আপনি কথা বলুন আমি কিন্তু ফোন কেটে দিব এবার...(বিরোক্ত বোধ করে আমি)
-এই না ফোন কাটবেন না plz....(ওয়াও কি মিষ্টি কন্ঠ)
-কে আপনি...(আমি)
-আমি তিথির...(অপর পাশ থেকে)
-ও আপনি এত দিন পরে কি মনে করে...(আমি)
-আজ তো রেজাল্ট দিছে কি রেজাল্ট আপনার....(তিথির )
-আমি তো ভুলে গেছি আচ্ছা আমি নেটে দেখতেছি আপনার কি রেজাল্ট....(আমি তো ভুলে গেছি আজ রেজাল্ট দিবে)
-আমি ৪.৮৯ পেয়েছি......(তি থির)
-মিষ্টি কই....(আমি)
-দেখা হলে খাওয়ামু..(তিথির )
-আমার ৪.৫৬।... (কথা বলতে বলতে চেয়ে নিয়েছে)
-বত্তি কথায় হবেন....(তিথির)
-দেখি। তুমি?(আমি)
-আমি দেখি কোথায় হতে পারি...(তিথির)
কিছু দিন পরে....
বত্তি হলাম বি এম কলেজে প্রথম দিন কলেজে যাওয়ার পর নতুন জায়গা নতুন মানুষ কেমন যেন অচেনা অচেনা এই অচেনা মুখ এর মাঝে চিনা মুখটা চোখের সামনে বেসে উঠল। দেখে ও বিশ্বাস হচ্ছে না তিথির এ কলেজে.......
-এই যে এই যে এইইইই...(তিথির পিছনে থেকে ডাক দিলাম)
-আরে আপনি এই কলেজে....(তিথির )
-আমার ও তো একই প্রশ্ন আপনি এই কলেজে..(আমি)
-আমি এখানে এডমিশন নিয়েছি...(তিথির )
-আমি ও...!
-আচ্ছা যেহেতু একই ক্লাসে আজ থেকে আমরা বন্ধু...(তিথির)
-আচ্ছা....(আমি)
-তবে তুই করে বলতে হবে...(তিথির)
-ওকে....(আমি)
এবাবে চলছে দিন কাল চলে গেছে বহু দিন কবে যে আমি তিথিরকে ভালোবেসে পেলেছি নিজে ও জানি না প্রতি দিন দেখা হওয়া ফোনে কথা বলা কে যেন বলেছে সুখ বেশি দিন থাকে না মেলা শুরু হবার কয় দিন আগে তিথির একটা ছেলের সাথে রিকসায় গুরতেছে শুধু ঘুরছেনি হাসাহাসি করে এমন ভাব সাপ করতেছে বয়ফ্রেন্ড র্গালফ্রেন্ড ও করেনা এমন আধিকক্ষেথা বুকের বাম পাশটা চিন চিন ব্যাথা অনুভব করতেছি বাড়ি চলে এসে রুমের দরজা বন্ধ করে বালিশে মুখ লুকিয়ে অনেক কেদেছি শুধু বালিশটা যানে আমার দুঃখটা কিছুটা আর কলেজে ও যাইনি কয় দিন স্বাভাবিক হয়েছি মেলা ও শুরু হয়ে গেছে শুরু হয়ে কয় দিন চলে ও গেছে ফোন অন করতে বন্ধু ফোন দিয়েছে আজ মেলায় আসতে আমি এসেছি কিন্তু ওরা আসেনি আর এটা ও ভাবনি এবাবে তিথির সাথে মেলায় দেখা হয়ে যাবে....!
-কিরে চুপ করে আচোছ কেন এ ভাবে অন্যমনস্ক হয়ে কি ভাবোচ....(তিথির )
-.............( তিথির কথায় ভাবনার জগত থেকে পিরলাম)
-কি রে কিছু বল.....(তিথির)
-কিরে তোর হাতে চুড়ি কই....(তিথির হাতে দিকে তাকাতে খেয়াল করলাম ওর হাতে চুড়ি নেই)
-ভুলে গেছি লাগাতে কেন....(তিথির)
-চল আমার সাথে...(আমি টানতে টানতে)
-কোথায় এভাবে টানতে টানতে কোথায় নিয়ে যাস উপপপপপ ব্যাথা লাগে ছাড়...(তিথির)
চুড়ি দোকানের সামনে নিয়ে তিথিরকে দাড় করিয়ে বললাম পছন্দ কর কোন ছুড়ি গুলো নিবি.....(আমি)
-তোর পছন্দ মতো কিনে দেয়.....(তিথির)
-আরে না আমার পছন্দ নাই তুই কর...(আমি)
-নাহ হয় কিনবো না...(তিথির মুখ গুরিয়ে)
-এই মুখ এই দিকে গুরাতো...(আমি)
-কেন...(তিথির)
-ঘুরা না...(আমি)
-হুম বল....(তিথির)
-এটা কেমন.....(নিল চুড়ি গুলো তিথির দিকে বাড়িয় দিয়ে)
-ওয়াও নিল চুড়ি....(খুশিতে আমাকে জড়িয়ে ধরেছে)
-এই কি করছ সবাই দেখতেছেতো....(আ মি তো ভাবতে পারিনি তিথির আমাকে জড়িয়ে ধরবে)
-দেখুক কি হয়েছে দেখলে...(আমাকে ছেড়ে দিয়ে)
-এবার চল...(আমি)
-চুড়ি গুলো পরিয়ে দেয়...(তিথির মাথা নিচু করে বললো মনে হয় কিছুটা লজ্জা ও পেয়েছে)
তিথির হাতে চুড়ি পরিয়ে দিয়ে দুজন হাটতেছি.....
-তিথির তোরে একটা কথা বলার ছিল....(আমি)
-হুম বল...(খুশি হয়ে)
-আই.......(বলতে পারতেছি না মুখ থেকে বের হতেছেনা)
-আই? মানে...(তিথির)
-না মানে আন্টি কেমন আছে...(দুত আমাকে দিয়ে কিছু হবে না)
-ভালো....(মন খারাপ করে বললো মনে এটা আমার থেকে আসা করেনি)
-আচ্ছা আমি যাই......(তিথির চলে যাচ্ছে)
-তিথিরররররররর.. (একটু জোরে ডাক দিলাম)
-কিইইইইইইইই.... (জোরে জবাব দিলো)
-আমি তোর মন ভালো করার কারন হতে চাই দিবি সেই অধিকার টুকু দিবি..?
আমি তোর হাসি খুশি থাকার কারন হতে চাই সেই অধিকার টুকু দিবি..?
আমি তোর চাঁদ দেখার সঙ্গি হতে চাই সেই অধিকার টুকু দিবি...?
তিথির দোড়ে এসে আমার বুকে জাপিয়ে পড়লো...
-গাদা এত দিন লাগে আর আমি তো আরো কত আগে সেই অধিকার দিয়ে দিয়েছি.....!
-সত্যি...(আমি)
-হুম সেদিন আমার কাজিন এর সাথে রিকসায় ঘুরেছি তোরে জেলাস করার জন্য আর তুই আমাকে ছেড়ে চলে গেলি...(কাদো কাদো হয়ে)
-সরি বাবুনি..
-আর কোন দিন যদি এমন হয় কি করবো জানো...(কান্না কোরতেছে)
-কি করবা...(আমি)
-অনেক দুরে হারিয়ে যাবো যেখান থেকে কেউ পিরে আসে না...(আরো জোরে কান্না করতেছে)
-এই সব কি বল তুমি তুমি চলে গেলে আমার কি হবে এমন কথা আর কখনো বলবা না...(আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরেছি)
-ওক বাবু...!
-I LOVE YOU BABUNI
-I LOVE YOU TO BABU
যাক আমাদের মেলায় মিলন হলো।
উৎসর্গ:আমার সেই প্রিয় না পাওয়া ভালোবাসার মানুষটিকে ভালো থাকো তুমি সুখে থাকো আমি তোমাকে পাইনি কি হয়েছে ধুর থেকেতো ভালোবাসতে পারবো।
(ভুল এুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন আসা করি)
কাল্পনিক....... ...
0 comments:
Post a Comment